অলিভ অয়েল

অলিভ অয়েল 100 Gram

(0 Reviews)

Tk140


পণ্যের বিবরণ

অলিভ অয়েলের পুষ্টিগুণঃ

অলিভ অয়েল প্রধানত স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, বিশেষত মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড (MUFA), দিয়ে সমৃদ্ধ। এতে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে পাওয়া যায়, যা ত্বক, চোখ এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যৌগ রয়েছে, যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।

অলিভ অয়েলের উপকারিতাঃ

১. হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষাঃ অলিভ অয়েল রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে। এটি উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্যও কার্যকর। নিয়মিত অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

২. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভান্ডারঃ অলিভ অয়েলে থাকা পলিফেনলস ও ভিটামিন ই শরীরের কোষগুলোকে ক্ষতিকর ফ্রি র‌্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। এটি বার্ধক্যের লক্ষণ কমিয়ে ত্বককে দীর্ঘ সময় ধরে তারুণ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

৩. হজমশক্তি উন্নত করাঃ অলিভ অয়েল হজমে সাহায্য করে এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা, যেমন গ্যাস বা কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রে উপকারী। এটি অন্ত্রের প্রদাহ কমায় এবং পেটের আলসার প্রতিরোধে সহায়ক।

৪. ত্বকের যত্নেঃ অলিভ অয়েল একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এটি শুষ্ক ত্বক নরম ও মসৃণ করতে সাহায্য করে। এছাড়া, এটি ব্রণ প্রতিরোধে এবং সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বক রক্ষা করতে কার্যকর।

৫. চুলের যত্নঃ অলিভ অয়েল চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। এটি চুলের খুশকি দূর করতে এবং প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে ব্যবহৃত হয়।

৬. ওজন নিয়ন্ত্রণঃ অলিভ অয়েল শরীরের বিপাকক্রিয়া বাড়ায়, যা অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। এর স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক এবং অপ্রয়োজনীয় ফাস্ট ফুড এড়াতে সাহায্য করে।

৭. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেঃ গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে অলিভ অয়েল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সহায়ক।

৮. প্রদাহ হ্রাসঃ অলিভ অয়েলে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান আর্থ্রাইটিস এবং অন্যান্য প্রদাহজনিত সমস্যার উপশমে কার্যকর।

অলিভ অয়েলের ব্যবহারঃ

১. রান্নায় ব্যবহারঃ সালাড ড্রেসিং: অলিভ অয়েল সালাডের স্বাদ ও পুষ্টি বাড়াতে ব্যবহৃত হয়।

  • রান্না ও ভাজাঃ লো তাপমাত্রায় রান্নার জন্য এটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প।
  • মেরিনেডঃ মাংস, মাছ বা সবজি মেরিনেট করার জন্য এটি ব্যবহার করা যায়।

২. ত্বকের যত্নেঃ

  • অলিভ অয়েল সরাসরি ত্বকে ম্যাসাজ করে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
  • এটি স্ক্রাব তৈরির জন্য চিনি বা লবণের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।

৩. চুলের যত্নেঃ

  • অলিভ অয়েল চুলে ম্যাসাজ করলে এটি গভীরভাবে পুষ্টি দেয়।
  • শ্যাম্পুর আগে হালকা গরম করে ব্যবহার করলে চুল মসৃণ ও শক্তিশালী হয়।

৪. স্বাস্থ্য সমস্যায় ব্যবহারঃ

  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে দিনে এক চা-চামচ অলিভ অয়েল খাওয়া যেতে পারে।
  • গলার খুসখুসে সমস্যা কমাতে গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে পান করা যায়।

৫. শিশুর যত্নেঃ

  • শিশুর ত্বকে ম্যাসাজের জন্য অলিভ অয়েল একটি নিরাপদ এবং কার্যকর বিকল্প। এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে এবং ত্বক নরম রাখে।

ভিন্ন প্রকারের অলিভ অয়েলঃ

  • এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলঃ এটি সর্বোচ্চ মানের এবং প্রক্রিয়াজাত করা হয়নি। সালাড ড্রেসিং ও কাঁচা ব্যবহার উপযুক্ত।
  • ভার্জিন অলিভ অয়েলঃ কিছুটা প্রক্রিয়াজাত, তবে পুষ্টিগুণ ধরে রাখে।
  • রিফাইন্ড অলিভ অয়েলঃ এটি রান্নার জন্য ভালো, কিন্তু পুষ্টিগুণ কিছুটা কম।

সতর্কতা ও ব্যবহার বিধিঃ

  • অতিরিক্ত তাপে ব্যবহার করলে অলিভ অয়েলের পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে পারে।
  • সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে না পারলে এটি দ্রুত অক্সিডাইজ হতে পারে।
  • প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পরিমাণমতো অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

অলিভ অয়েল শুধু খাদ্য নয়, এটি একটি বহুমুখী উপাদান যা স্বাস্থ্য, সৌন্দর্য এবং দৈনন্দিন জীবনের নানা ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর। এর সঠিক ব্যবহার সুস্থ ও সুন্দর জীবনযাপন নিশ্চিত করতে পারে।

নির্ভরযোগ্য ডেলিভারি সার্ভিস এবং গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে বিশুদ্ধমার্ট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সহজ অর্ডার প্রক্রিয়া, দ্রুত সেবা, মানসম্পন্ন পণ্য এবং সাশ্রয়ী মূল্যের জন্য একটি নিরভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান।

© 2025 Bishuddha Mart All Rights Reserved

Design & Developed by InnerArt Media

My Cart Close