নিম তেল

নিম তেল 100 Gram

(0 Reviews)

Tk140


পণ্যের বিবরণ

নিম গাছ (Azadirachta indica) প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন ঔষধি গুণের জন্য পরিচিত। এর পাতা, ছাল, বীজ, এমনকি ফুলও স্বাস্থ্য রক্ষায় ব্যবহৃত হয়। নিমের বীজ থেকে উৎপাদিত তেল, যা নিম তেল নামে পরিচিত, বিশেষত ঔষধি ও প্রসাধনী গুণাগুণের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয়। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য।

নিম তেলের উপকারিতাঃ

১. ত্বকের যত্নঃ নিম তেল ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি ব্রণ, র‍্যাশ, ডার্মাটাইটিস এবং ত্বকের সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। নিম তেলে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল করে।

২. খুশকি ও চুলের যত্নঃ নিম তেল চুলের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। এটি খুশকি দূর করে এবং মাথার ত্বকের শুষ্কতা কমায়। নিম তেলে থাকা অ্যাজাডিরাচটিন নামক উপাদান চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, যা চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে।

৩. পোকামাকড় প্রতিরোধঃ নিম তেল প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসেবে পরিচিত। এটি গার্ডেনিং বা কৃষিকাজে ফসলকে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া এটি মশা ও অন্যান্য ক্ষতিকর পোকা দূর করতে ঘরের পরিবেশে ব্যবহার করা যায়।

৪. অ্যান্টি-সেপটিক গুণঃ নিম তেল ছোটখাটো কাটাছেঁড়া, ক্ষত বা পুড়ে যাওয়া স্থানে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-সেপটিক হিসেবে কার্যকর। এটি দ্রুত ক্ষত সারায় এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।

৫. পোকামাকড় কামড়ানোর প্রতিকারঃ পোকামাকড় কামড়ালে ত্বকে জ্বালাপোড়া ও চুলকানি হতে পারে। নিম তেল এই সমস্যা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকর। এটি ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং ত্বকের আরাম নিশ্চিত করে।

৬. মুখের ভেতরের স্বাস্থ্য রক্ষাঃ নিম তেল অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণের কারণে মুখের ভেতরের সংক্রমণ, যেমন মাড়ির প্রদাহ বা দাঁতের সমস্যার জন্য কার্যকর। অনেক প্রাকৃতিক মাউথওয়াশ ও টুথপেস্টে নিম তেলের ব্যবহার দেখা যায়।

৭. শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ নিম তেল ব্যবহার করে শরীরে ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত হয়। এটি ত্বকের পুষ্টি বৃদ্ধি করে এবং দেহকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে।

নিম তেলের ব্যবহারঃ

১. ত্বকের যত্নেঃ নিম তেল সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে সংবেদনশীল ত্বকের জন্য এটি নারকেল তেল বা জলপাই তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা উত্তম। এটি ব্রণের উপর সরাসরি প্রয়োগ করলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।

২. চুলের যত্নেঃ চুলের যত্নে নিম তেল সাধারণত মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করে ব্যবহার করা হয়। এটি চুলের গোড়ায় পুষ্টি দেয় এবং খুশকি দূর করে। শ্যাম্পু করার আগে ৩০ মিনিট নিম তেল মাথায় রেখে দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

৩. পোকামাকড় প্রতিরোধেঃ বাগান বা ঘরে নিম তেল স্প্রে করা যেতে পারে। এক লিটার পানিতে ৫-১০ মিলি নিম তেল মিশিয়ে স্প্রে করলে পোকামাকড় দূর হয়।

ম্যাসাজ তেল হিসেবেঃ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ম্যাসাজের জন্য নিম তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়।

৫. মুখের যত্নেঃ গরম পানির সঙ্গে কয়েক ফোঁটা নিম তেল মিশিয়ে কুলকুচি করলে মাড়ির প্রদাহ কমে এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।

৬. অ্যান্টি-সেপটিক হিসেবেঃ নিম তেল কাটা বা ক্ষত স্থানে সরাসরি লাগানো যায়। এটি দ্রুত আরোগ্য ঘটায়।

সতর্কতাঃঃ

নিম তেল অত্যন্ত শক্তিশালী একটি প্রাকৃতিক উপাদান, তাই এটি ব্যবহারের আগে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

  • নিম তেল সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করলে কারো কারো ক্ষেত্রে এলার্জি হতে পারে। তাই আগে ত্বকের একটি ছোট স্থানে এটি পরীক্ষা করে নেওয়া উত্তম।
  • এটি গর্ভবতী নারীদের জন্য ব্যবহার করা নিরাপদ নয়।
  • শিশুদের ত্বকে নিম তেল ব্যবহার করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।


নিম তেল একটি বহুমুখী প্রাকৃতিক উপাদান যা ত্বক, চুল এবং স্বাস্থ্যের যত্নে অত্যন্ত কার্যকর। এটি পোকামাকড় প্রতিরোধ থেকে শুরু করে ক্ষত সারানো পর্যন্ত বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। তবে এটি ব্যবহারের সময় সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। প্রাকৃতিক সমাধান হিসেবে নিম তেল আধুনিক জীবনে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে এবং এর গুণাগুণ প্রাচীনকাল থেকেই বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।

নির্ভরযোগ্য ডেলিভারি সার্ভিস এবং গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে বিশুদ্ধমার্ট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সহজ অর্ডার প্রক্রিয়া, দ্রুত সেবা, মানসম্পন্ন পণ্য এবং সাশ্রয়ী মূল্যের জন্য একটি নিরভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান।

© 2025 Bishuddha Mart All Rights Reserved

Design & Developed by InnerArt Media

My Cart Close